গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা ॥
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে গৌরীপুর উপজেলার গাঁওরামগোপালপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাইক্রোবাস ও মাহেন্দ্র গাড়ীর মুখোমুখি সংঘর্ষে ১১জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ২জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী রামগোপালপুর ইউনিয়নের গাঁওরামগোপালপুর গ্রামের মসজিদের ঈমাম মোঃ কাউছার আহাম্মেদ জানান, ময়মনসিংহগামী একটি বিকল রিকশাভ্যান ধীরে ধীরে রাস্তার বামপাশ দিয়ে যাচ্ছিল। পিছনে ছিলো মাছবাহী একটি পিকআপভ্যান। মাছবাহী পিকআপ ভ্যানটি রিকশাভ্যানটিকে ওভারটেক করার সময় তার পিছনে থাকা দ্রুতগামী মাইক্রোবাসটি মাছবাহি পিকআপটিকে ওভারটেক করার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা মাহেন্দ্র গাড়ীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মাহেন্দ্র গাড়ীটি মহাসড়কের মাঝেই উল্টে যায়। এরপর মাইক্রোবাসটি রাস্তার পাশে একটি গাছে সঙ্গে ধাক্কা লেগে ধুমড়েমুচড়ে যায়। ঈশ্বরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার মাহফুজুর রহমান মাহফুজের নেতৃত্বে আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পস্তারী গ্রামের মোঃ আজিম উদ্দিনের পুত্র মোঃ আলমগীর (৩৫), মোঃ আবুল কাসেমের পুত্র মোঃ আল মামুন (৩০), শ্রীপুর জিতরের মৃত শাবদুল মোড়লের পুত্র মোঃ আবুল কালাম (৪০), ধরপঁচাশি গ্রামের আবুল সিদ্দিকের পুত্র মোঃ সাগর মিয়া (৫০), আবু সিদ্দিক ভূইয়ার পুত্র আব্দুস সাত্তার (৫০), দত্তপাড়ার সুজন মিয়া (৪০), রফিকুল ইসলাম রফিক (৪৫), গাঁওরামগোপালপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর কাদিরের কন্যা মোছাঃ পপি আক্তার (২২), ফুলপুর উপজেলার চনপলাশিয়া গ্রামের আক্কাস আলীর পুত্র শুক্রর মাহমুদ (২৫), তার ভাই শামীম মাহমুদ (৩০) ও অজ্ঞাতনামা একজন। গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
একই সড়কের চরশ্রীরামপুর এলাকায় বুধবার বাস ও সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে রাবেয়া খাতুন (৬৮), তার ছেলে লাল মিয়া (৪৯), সাহারা বানু (৭০) ও অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম (৫০) নিহত ও আরো ২জন আহত হয়।