রসে ভরপুর লেবুগাছ থেকে লেবুগুলো ঝড়ে পড়ছে। কাটা গাছগুলোর সবুজপাতা আস্তে আস্তে ন্যুয়ে পড়ছে। গাছগুলো দেখে এখনও দূর থেকে মনে হয় না; এগুলো কাটা গাছ। লেবু বাগানের প্রতিটি গাছের কাÐগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। কিছুগাছ বাগানের এদিক-সেদিক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা! যারা দেখতে আসছেন, সবাই ধিক্কার জানাচ্ছেন।
এ ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের খুলিয়ারচর গ্রামে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর/২৩) লেবু বাগান কেড়ে সাবাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় খুলিয়াচর গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র মো. সিরাজুল হক (৩৫) গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, একটি ফলনশীল লেবু বাগান কেটে ফেলার বিষয়টি দু:খজনক। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর/২৩) পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মৃত ইছু বেপারীর পুত্র আব্দুল খালেক জানান, জমি মেপে দেয়া হয়েছিল। আমার জমিতে যেসব গাছ ছিলো সেগুলো কাটা হয়েছে। অভিযোগকারীদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায়, খুলিয়ারচর গ্রামে মো. সিরাজুল হকের ফলন্ত লেবু বাগানের ৭৮টি বিশাল গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের জমিতে রোপিত লেবু বাগান কাটা হয়েছে। সেখানে তাদের কোনো জমি নেই। এ ঘটনায় সিরাজুল হক বাদী হয়ে প্রতিবেশী আব্দুল খালেক, মো. আহেদ আলী, মোছা. আনোয়ারা আক্তার, মনোয়ারা আক্তার, জোসনা আক্তার, ঝর্ণা আক্তার, হাসিম উদ্দিন, মো. একরাম মিয়া, মো. সোহেল মিয়াকে আসামী করে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনা তদন্তে গেলে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আব্দুল বারেক গাছকাটার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ আছে, তবে গাছকাটা ঠিক হয়নি। তবে এ প্রতিনিধি গাছকাটার ছবি তুলতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারের ওপরে কেউ নাই; আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিবো। ছবি-টবি তুলবেন না, নিউজও করবেন না।