ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক পোষাককর্মী তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ শশুর বাড়িতে নিয়ে আসলে নিহতের পরিবারের লোকজন লাশ বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স ও নিহতের স্ত্রীসহ ৬জনকে আটক করে থানাকে অবহিত করলে পুলিশ তাদেরকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
জানা যায়, উপজেলা রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর নওপাড়া গ্রামের মহিশাল বাড়ির মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র দেলোয়ার (২২) বিয়ে করেন একই এলাকার গাঘড়া গোপালপুর গ্রামের হাজেরা বেগমকে। স্বামী-স্ত্রী উভয়েই গাজীপুরের কোনাবাড়ি কলেজ রোড ময়লা পুকুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। স্ত্রী হাজেরা একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন ও স্বামী দেলোয়ার একই এলাকায় ভাংগারী ব্যবসা করতেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৯মার্চ শনিবার রাত ১১টার দিকে ভিডিও কলে মায়ের সাথে কথা বলেন দেলোয়ার। ভোরে দেলোয়ার মারা যাওয়ার খবর শুনতে পেয়ে সঙ্গা হারিয়ে ফেলে তার মা, বাড়িতে শোকের মাতম চলে।
রোববার ১০টার দিকে এ্যাম্বুলেন্সে স্ত্রী লাশ নিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ তুলেন দেলোয়ারকে হত্যা করে স্ত্রী তার লাশ নিয়ে আসে। এসময় বিক্ষোদ্ধ লোকজন তাদেরকে আটক করে পুলিশে খরবদেয়। ওসির নির্দেশে এস আই রেজাউল করিম নিহতের বাড়ি থেকে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সসহ ৬জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃতরা হলেন নিহতের স্ত্রী হাজেরা, নয়ন, হাসিম উদ্দিন, রমিজা, জাহানারা ও কাজল।
পুলিশের কাছে নিহতে স্ত্রী দাবী করেন, রাতে দেলোয়ার অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য আত্মীয়দের সহায়তায় গাজীপুর তায়রুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসলাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রের্ফড করলেও সেখানে নেয়নি। পরে রোববার সকালে লাশ নিয়ে বাড়িতে আসেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃতরা থানা হাজতে রয়েছে।